দরবেশ খ্যাত সালমান এফ রহমানকে নিয়ে নাগরিক টিভির স্পেশাল রিপোর্ট!

প্রিয় দর্শক স্বাগত জানাচ্ছি নাগরিক টিভির আজকের স্পেশ্যাল রিপোর্ট এ আজকের স্পেশ্যাল রিপোর্টটি আমরা সাজিয়েছি. বাংলাদেশের শীর্ষ ধ্বনি এবং আর্থিক খাতের দুর্নীতির সবচেয়ে বড় খলনায়ক দরবেশ তবে খ্যাত গ্রুপের কর্ণধার সলমন এফ রহমানকে নিয়ে. ওনার মতো এত বড় মাপের একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে নিয়ে. কেবল একটি পর্বে রিপোর্ট করলে তা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে. তাই ওনার বিস্তৃত অপকর্মের তিরিশটি নিয়ে সাজানো আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ দেখবেন প্রথম পর্ব. তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমরা প্রবেশ করি আমাদের আজকের মূল রিপোর্ট প্রিয় দর্শক সলমন এফ রহমান এখন পর্যন্ত জাতিকে দুইবার সর্বনাশা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করেছিলেন. প্রথমবার ছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার যখন প্রথম ক্ষমতা গ্রহণ করে সেই উনিশশো ছিয়ানব্বই সালে. এবং দ্বিতীয়বার আমেরিক সরকার তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই দু হাজার দশ, দু হাজার এগারো সালে. দুইবারই বাঙালি নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তকে অত্যন্ত সফলতার সাথে সর্বশান্ত করে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি. শেয়ার বাজার লোপাট করার মাধ্যমে. গত কত মানুষের জীবনকে সে সময় দুর্বিষহ হয়ে গিয়েছিল তা ছিল ধারণারও বাইরে. দু হাজার দশ, দু হাজার এগারো সালের শেয়ার কেলেঙ্কারিতে মার্কেট থেকে লুট করা হয় এক লক্ষ চৌষট্টি হাজার কোটি টাকা এবং সর্বশান্ত করা হয় তেত্রিশ লক্ষ বিনিয়োগকারীদের. লোটাস কামাল মোসাদ্দেক আলী পালু, লুতপুর রহমান বাদল, সাবেক MP ফারুক খান এই সিন্ডিকেট মিলে এই লোপাট করলেও এর মূল নেতৃত্বে ছিলেন সালমানের রহমান. এত বড় আর্টি কেলেঙ্কারি করেও শাস্তির মুখোমুখি না হয়ে উপরন্তু সলমন এফ রহমান প্রধানমন্ত্রী আরো কাছের মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন. ওই শেয়ার কেলেঙ্কারির ভাগের টাকা প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ. জয়. প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানাসহ আরও অনেকেই বেশ মূলত এভাবেই সলমন এফ রহমান হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের অবৈধ অর্থের অন্যতম যোগান দাতা. এবং আস্থাভাজন এক ব্যক্তিতে. সর্বশেষ তিনি যেই উচ্চবিরাশি প্রকল্পের নামে টাকা লোপাটে পরি কল্পনা নিয়েছেন সেটা হলো শুকুবুক নামের বন্ডের মাধ্যমে. তবে বন্ডের বিস্তারিত আলাপে চাওয়ার আগে জানিয়ে রাখি সালমারেফ রহমানকে দরবেশ নামটি প্রদানের মাধ্যমে এই নামটিকে তার নামের সমার্থক শব্দ হিসেবে যিনি করতে করেন. তিনি হলেন রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য আন্দালিব রহমান পার্থ. সংসদে দাঁড়িয়ে এক ভাইরাল বক্তৃতার সময় পার্থর মুখ থেকেই সর্বপ্রথম দরবেশ নামটি উচ্চারিত হয়েছিল. চলুন দেখে নিই সেই ক্লিপটি. মাননীয় স্পিকার মনস্পিকার কোনো কোনো দেশের অর্থনীতি অনেকখানি ডিপেন্ড করে তার মিডিল ক্লাস ফ্যামিলির উপরে কত স্ট্রং তার মিডিল ক্লাস ইকোনমি মিল্ড ক্লাস ফ্যামিলি দাঁড়ায় স্লোলি বাট স্লোলি আমরা সেদিকে যাচ্ছিলাম কিন্তু কোথা থেকে ঠিক ছিয়ানব্বই এর মতো এক দর্বেশ এসে হাজির হলো. মাননীয় স্পিকার এটাকে আইসোলেটেডলি করে দেখলে হবে না. আজ থেকে তিন চার বছর আগে যারা সেল্ফ ডিক্লেয়ার ব্যাংকক ছিল আত্মস্বীকৃত দেউলিয়া যারা নিউজ পেপারে বলেছিল সাতশো কোটি টাকা আটশো কোটি টাকা লস যাদের হাজার কোটি টাকা বরং সেই দরবেশরা এই দুই বছরে ব্যাঙ্কের টাকা শোধ করে আরো দশ হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে এই দরবেশ এবং তার সাথে তাদের বিভিন্ন মুরিদ. আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই চোর কোন দলের না. তো প্রিয় দর্শক সাম্প্রতিক সময়ে বন্ডের নামে যে লুটপাটের মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন মানে প্রমান. তা হলো trust এর মাধ্যমে পরিচালিত. যে বন্ডের কোনো সুদ নেই. বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে মূলত বড়ো বড়ো প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে. এমনটি প্রচার করা হচ্ছে. এসব প্রকল্পের মালিকানার অংশীদার হন টুক বন্ডের বিনিয়োগকারীরা. অন্য বন্ডে এই সুযোগ রাখা হয় নি গত বছরের ডিসেম্বরে ছেড়ে চার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ তোলে সরকার. বলা হচ্ছে এ অর্থ দেশজুড়ে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে গণস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরিচালনায় ব্যয় করা হবে রহমানের মালিকানাধীন ভ্যাকসিন কোকে একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেবার লক্ষ্যেই এইটুকু বন্ধ ছাড়া হয়েছে এবং এই পুকুর বন্ডের বিনিয়োগকারীরা চাইলে তাদের ইউনিটগুলো ভ্যাকসিন কো লিমিটেডের শেয়ারে রূপান্তর করে নিতে পারবেন বছর সর্বোচ্চ বিশ শতাংশ হারে এটি করা যাবে. ভ্যাক্সিনকো শেয়রের বড়দাম একশো টাকা হলে রূপান্তর মূল্য হবে পঁচাত্তর টাকা. তার মানে এক হাজার টাকার সুকুপ বন্ডের বিপরীতে মিলবে তেরো দশমিক তেত্রিশটি শেয়র পুঁজি বাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত ফান্ড দিয়ে সুকুপ বন্ডে বিনিয়োগ করেছে. যার ফলে তারল্য সংকট সহ এক্সপোজার লিমিটেরও সর্বনাশ করা হয়েছে. যার ফলে মার্কেটের উপরে একটি বিরূপ প্রভাব ঘটবে এবং তারুণ্য সংকট দেখা দেবে বলেই আর্থিক সাথে সংশ্লিষ্টদের ধারণা. সালমানের রহমানের সাথে যারাই ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন বা সত্যতা গড়েছেন. তাদের অনেককেই তিনি বিপদে ফেলে নিজে ঠিকই ফায়দা লুটে নিয়েছেন. পর্দায় যে মানুষটিকে আপনারা দেখতে পাবে তার নাম শফিউলা আলমনি. এই মনির একসময় সালমানের রহমানের খুব কাছের মানুষ ছিলেন. অথচ তিনি আজ প্রতারণার দায়ে জেলে. ইনডেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আল মুনিরের ইনডেক্স এলপিজি আজ ভ্যাকসিন করে একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠা. মনিরের দাবি সালমানের রহমান তা টাকা মেরে দিয়েছে প্রশ্ন হলো মুনিষ যদি প্রতারকি হয়ে থাকেন তাহলে সলমন এফ রহমান জেনে শুনে কেন তার সাথে ব্যবসায়িক ধান্দা করতে গিয়েছিলেন এবং কেনই বা আজ মুনির জেলে তাছাড়া শেয়ার কেলেঙ্কারির দায়ে সালমানের রহমানের আয়েফ আই সি বে সাবেক পরিচালক ও ব্যবসায়ী লুটুর রহমান বাদল অভিযুক্ত হলেও একই অভিযোগে সলমারের প্রমাণ থেকে যান দুর্নীতি দমন কমিশনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে অথচ লুতপুর রহমান বাদল ও তার স্ত্রী সোমা আলম রহমানের স্থাবর অস্থাবর যাবতীয় সম্পদ ও অবরুদ্ধ করে দুর্নীতি দমন কমিশন লুতপুর রহমান বাদল থেকে সদ্য গ্রেফতার হওয়া বোতল চৌধুরী অথবা BNP র একসময়ের প্রভাবশালী নেতা মোসাদ্দেক আলী পালু এরা সবাই সালমানের রহমানের খুবই নিকট জন ছিলেন. অথচ আজ এরা সকলেই বিপদগ্রস্ত এবং সলমনের প্রমান ঠিকই বহাল তবিয়তে আছেন. একথা সকলেই জানেন এই ব্যক্তিগুলোর দুরাবস্থার জন্য পেছন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *